প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফর করবেন। তার সফর দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করবেন। রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজমির শরিফ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফরসহ উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক বজায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ভারত সফর করেন ২০১৯ সালের অক্টোবরে।
জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন এবং তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সূত্র জানায়, এই সফর বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই তাত্পর্যপূর্ণ, কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ। আশা করা হচ্ছে, সফরে পাঁচ থেকে সাতটি স্মারক সই হতে পারে। দুই দেশের স্টাফ কলেজের মধ্যে সহযোগিতা, বিচার বিভাগীয় সহযোগিতা ও কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। নবায়নের মধ্যে রয়েছে সুনীল অর্থনীতি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক। এছাড়া রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের দুটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা চলছে।
নেপালের জিএমআর কোম্পানির সঙ্গে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যুত্ আমদানিসংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর সফরে। এছাড়া তার সফরে রূপসা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ হস্তান্তরসহ আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ চলছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কয়েকটি বিষয়ে সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। জ্বালানি, খাদ্য ও বাণিজ্য বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি। গম, পেঁয়াজসহ ভারত থেকে জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এসব পণ্য সরবরাহের বিষয়েও উভয় দেশের মধ্যে অঙ্গীকার হতে পারে। এসব পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা থাকলে সেটি বাজারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) করার জন্য আলোচনা শুরুর বিষয়ে একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই চুক্তি হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে একটি শক্ত কাঠামো দাঁড়াবে, যার অধীনে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।

‘স্বাধীনতাবিরোধীরা চায় না বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হোক : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী’
: নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল......বিস্তারিত
-
পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. জহুরুল ইসলাম রোহেল!
: নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ...
-
স্বাধীনতাবিরোধীরা চায় না বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হোক : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী
: নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল...
-
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুক্রবার! দ্বাদশ ভোট দুর্ভিক্ষের বার্তা
: নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির মাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের করণীয়...
-
ধেয়ে আসছে সিত্রাং, সর্তক উপকূলবাসী!
: আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত প্রতিনিয়ত শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।...
-
বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিশ্বাঙ্গনে নিয়ে যাব: তথ্যমন্ত্রী
: তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান ও বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের...
-
চা শ্রমিকদের ধর্মঘটে ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি
: নিউজ ডেস্কঃ চা শ্রমিকদেরন্যায্য মুজরীর দাবীতে শ্রমিক ধর্মঘটে সিলেটে চা...
‘মেসির অনুদানের টাকায় চলে ৯৮৪৭ টি স্কুল!’
: আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার আর্জেন্টিনার জয়ের মূল স্থপতি লিওনেল মেসিকে নিয়ে......বিস্তারিত
‘স্বাধীনতাবিরোধীরা চায় না বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হোক : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী’
: নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল......বিস্তারিত